হেমন্ত বিশ্বাসঃ
গোপালগঞ্জ আইডিয়াল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তনি মধুকে হেনস্থা করা’সহ চড়থাপ্পরের অভিযোগ উঠেছে সাময়িক বরখাস্তপ্রাপ্ত সাবেক অধ্যক্ষ নৃপেন সরকারের বিরুদ্ধে।
গত ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যনের বরাবর অভিযোগ করেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তনি মধু।
গোপালগঞ্জ আইডিয়াল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তনি মধু বলেন, গত ১৮ই জুলাই কলেজ শিক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগে গভর্নিংবোর্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নৃপেন সরকার’কে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। পরে আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেন। তারই জেরে গত ২৯ অক্টোবর আমি কলেজে গেলে দেখি সাবেক অধ্যক্ষ নৃপেন সরকার অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে আছেন। আমি তাহাকে নমস্কার দিয়ে জিজ্ঞাসা করি, স্যার কেন আসছেন বা কি বিষয়ে আসছেন? জিজ্ঞাসা করলে তিনি চিৎকার চেচামেচি করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন তুই কেন এই প্রশাসনিক রুমে ঢুকেছিস, আমি এই কলেজে অধ্যক্ষ ছিলাম এখনো আছি। সাবেক অধ্যক্ষ নৃপেন সরকার আমাকে টানা হেচড়া করে প্রশাসনিক রুম থেকে বের করার চেষ্টা করে। তখন আমাকে হেনস্থা করা’সহ চরথাপ্পড় মারে। এই সময় সাবেক অধ্যক্ষের ভাই কলেজের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী মনিস সরকার ১৫ জনের মত একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অফিস রুমে ঢুকে আমাকে গালিগালাজ করা’সহ প্রাণনাসের হুমকী দিয়ে বলে জীবনে বেঁচে থাকার ইচ্ছা থাকলে এই কলেজে আর কখনো আসবি না। এ অবস্থায় আমি গভর্নিংবডির সভাপতি মহোদয়কে জানালে তিনি আমাকে সুরক্ষিত থাকার পরামর্শ দেন এবং পুলিশ প্রশাসনকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে ।
সাবেক অধ্যক্ষ নৃপেন সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রায়লের একটি আদেশ অনুযায়ী একজন বেসরকারী শিক্ষককে ৬০ দিনের বেশি সাময়িক বরখাস্ত রাখা যায় না। তাই আমি প্রায় ১শ দিন পরে আমি আমার কলেজের গিয়েছি এবং অধ্যক্ষের চেয়ারে বসেছি। আমি গোপালগঞ্জ আইডিয়াল কলেজের নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলাম এবং আছি। ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসী কলেজে গিয়ে আমাকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব আবার দেন।
Leave a Reply