গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জের মোটরপার্টস-ব্যাবসায়ী মোঃ মিন্টু মিনা ওরফে কোটন (৪৫) হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তার মামাতো ভাই জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক ও মোটর-শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোঃ বুলবুল ইসলাম। বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ-সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
সংবাদ-সম্মেলনে তিনি জানান, নিহত মোঃ মিন্টু মিনা ওরফে কোটন তারই ফুফাতো ভাই। তাদের মার্কেটেই কোটনের মোটর-পার্টসের দোকান। প্রতিদিনের ন্যায় গত শনিবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে সে নিখোঁজ হয় এবং এরপর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার হরিদাসপুর ইউনিয়নের ফকিরকান্দি লেকপাড় ব্রীজের পাশে তার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ইতিমধ্যে গোপালগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে তার ময়না-তদন্তও সম্পন্ন হয়েছে, থানায় মামলা দায়ের হয়েছে এবং পুলিশও তাদের মতো করে বিষয়টি তদন্ত করছে। কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী মহল হত্যাকান্ডটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে কোটন হত্যাকান্ডের সঙ্গে ২০১৬ সালে মোটর-শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা সাইদুর রহমান বাসু হত্যা মামলার যোগসূত্র স্থাপনের অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভুল তথ্য দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ২৪ জানুয়ারি বাসু হত্যা মামলার পরবর্তী নির্ধারিত তারিখে মামলার তদন্ত-কর্মকর্তার সাক্ষ্য দেয়ার দিন ধার্য্য রয়েছে। কোটন মিনা ওই মামলার একজন স্বাক্ষী হলেও ওইদিন তার কোন সাক্ষ্য দেয়ার কথা নয়। অথচ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কোটন মিনার সাক্ষ্য দেয়ার কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে।
তাই সুযোগ-সন্ধানীরা যাতে আর সুযোগ নিতে না পারে এবং পুলিশ যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত খুনীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারে, সে দাবিতেই তিনি এ সংবাদ-সম্মেলন করছেন বলে জানান।
সংবাদ-সম্মেলনে জেলা শ্রমিক লীগ ও মোটর-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply